খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের সাক্ষাৎ নিয়ে ধুম্রজাল
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে গত ২১ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঐক্যফ্রন্টের ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। সাক্ষাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দিলেও এখনো অনুমতি পায়নি সরকার বিরোধী জোটের নেতারা। ফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের পর ১৭ নভেম্বর ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আইজি প্রিজনকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এরপর উনারা জানায়, এতো মানুষ এক সঙ্গে দেয়া সম্ভব নয়। ৫ জন করে তালিকা দেন। আমরা প্রথম পর্বে ৫ জনের নামের তালিকা দেই কিন্তু এখন পর্যন্ত কারা মহাপরিদর্শক আমাদের কিছু জানায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন জানান, ঐক্যফ্রন্টের এ আবেদনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার পরিবারেরও একটা আবেদন রয়েছে। উনার পরিবারের স্বজনরা ১৫ দিন পর পর সাক্ষাৎ করেন, ইতোমধ্যে ১৮/১৯ দিন হয়ে গেছে তাই আমরা তার পরিবারে আবেদনটি বেশী জোর দিয়েছি। ঐক্যফ্রন্টের আবেদনের বিষয়টিও প্রসেসিং অবস্থায় আছে।
কবে নাগাদ সাক্ষাৎ হতে পারে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা এখন কেউ বলতে পারে না এটা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত। মন্ত্রণালয় যে দিন বা তারিখ ঠিক করে দেবে, সেই তারিখেই উনারা সাক্ষাৎ করতে পারবেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জনগণকে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের প্রকৃত তথ্য জানাতেই ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করি এবং কারা মহাপরিদর্শকে আমরা একটা তালিকাও দেই কিন্তু আজকাল করে করে অনেক দিন গড়িয়েছে, তারা আমাদের কিছু জানাচ্ছে না। আই জি সাহেব চেইঞ্জ ইউর মাইন্ড। আমার মনে হয় দেখা করতে দিলে সরকারের লাভটা বেশী হতো। আমরাও জনসাধারণকে খালেদা জিয়ার প্রকৃত অবস্থাটাও জানাতে পারতাম।
জাফরুল্লাহ আরো বলেন, আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বিচারপতিরা আবার তার মেডিকেল সার্টিফিকেট চেয়েছেন, সেটা কেনো? তিনি তো হাসপাতালেই আছেন। তাহলে, তার সার্টিফিকেট কেনো লাগবে? তবে কি মেডিকেল বোর্ড মিথ্যা কথা বলছেন? আমি তো মনে করি এ সকল জজ সাহেবদের কোমড়ে জোর নাই।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, কারাকর্তৃপক্ষ আমাদের সাক্ষাতের বিষয়ে কিছু জানায়নি। অনেক দিন হয়েছে তাই আমি নিজেও এ বিষয়ে কিছু জানি না। ৫ তারিখে উনার শারীরিক অবস্থা জানাতে মেডিকেল বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আমরা আশা করবো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সঠিক তথ্যটাই প্রকাশ করবেন।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের দেখা হবে না বলেই আমরা ধরে নিয়েছি। কারণ, স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বলার পরেও এতোদিন লাগছে এতে আমার মনে হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্ষমতারও সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
এদিকে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি দেওয়ার এক সপ্তাহ পরেও দেখা করার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের স্বজনরা। চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, গত ২৪ নভেম্বর সাক্ষাৎ চেয়ে কারা মহাপরিদর্শক বরাবর চিঠি দেয়া হয়। বেগম জিয়ার ভাই শামিম ইস্কান্দর ৬ জনের নাম উল্লেখ করে চিঠি দেন। যদিও এই সময়ের মধ্যে কোনও সাড়া দেয়নি কারাকর্তৃপক্ষ।
from tv
Post a Comment